Sunni Army

Surfe.be - Banner advertising service

আমি কোন জাতি, ধর্ম, বর্ণ কাউকে উদ্দেশ্য করছি না; কটাক্ষও করছি না। শুধু মিডিয়ার ছাগলামি আর কথিত একরোখা পশুপ্রেমকে উদ্দেশ্য করে বলছি।

June 07, 2020

Image may contain: text

আমি কোন জাতি, ধর্ম, বর্ণ কাউকে উদ্দেশ্য করছি না; কটাক্ষও করছি না। শুধু মিডিয়ার ছাগলামি আর কথিত একরোখা পশুপ্রেমকে উদ্দেশ্য করে বলছি।

মিডিয়ার পশুপ্রেম যদি পজিটিভলি নেন তাহলে অস্ট্রেলিয়ার ৫০০০ উটকে গুলি করার নিউজ ভাইরাল করেন না কেন? ভাইরাল করেন। দেখি আপনাদের পশুপ্রেমের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে কি না। (লিংক https://bit.ly/2MuLcbq)

নাকি উটের কথা হাদীছে এসেছে তাই সিরিয়া, লিবিয়া, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, আফগানিস্তানের মুসলমানদের মত উটদেরকে মুসলমান ট্যাগ দিয়ে গুলি করে হত্যা করলো? আর মিডিয়াও চুপচাপ চেপে গেল উট হত্যার নিউজ। কি ভাই, আমার কথা মিলাতে পারলেন না?

তাহলে আসুন দেখে নেই।
গণেশের জন্মবৃত্তান্ত জানেন? হাতির শূড় বা মাথা কেটে এনে জোড়া দেয়া হয় গণেশের মাথায়। তারপর থেকেই গণেশের মাথায় হাতির শূড় দেখা যায়। (লিংকঃ https://bit.ly/2z2ZQDJ)

হাতির শূড় গণেশের মাথায় দেখা যায় বলেই কি হাতির মৃত্যুতে মিডিয়ার এত কান্নাকাটি, আহাজারি, রোনাজারি? হুজুগে বাঙালিদের এত মায়াকান্না?

অন্যদিকে উটের বর্ণনা হাদীছে পাওয়া যায় বলেই কি উট হত্যায় মিডিয়া নীরবতা পালন করলো? দেখুন উট নিয়ে হাদীছের বর্ণনা।
এক দিনের ঘটনা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক আনসারির খেজুর বাগানে প্রবেশ করলে হঠাৎ একটি উট দৃষ্টিগোচর হয়। উটটি নবীজীকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখে কাঁদতে লাগল। নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনেক ব্যথিত হলেন। উটটির কাছে গিয়ে তার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করলেন। এতে উটটির কান্না বন্ধ হয়ে গেল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ উটের মালিক কে? এক আনসারি যুবক এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটটি আমার। নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ যে তোমাকে এই নিরীহ প্রাণীটির মালিক বানালেন এর ব্যাপারে তুমি কি আল্লাহকে ভয় করো না? উটটি আমার কাছে অভিযোগ করেছে, তুমি একে ক্ষুধার্ত রাখো এবং কষ্ট দাও। (সুনানে আবু দাউদ ২৫৪৯)

একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি উটের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, প্রচুর ক্ষুধার তাড়নায় যার পিঠ পেটের সাথে লেগে গেছিল। অনাহারে অপুষ্টিতে দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এ দৃশ্য দেখে রহমতের নবীর ভীষণ মায়া হলো। সাহাবিদের (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) ডেকে বললেন, এসব বাকশক্তিহীন প্রাণীর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। সুস্থ অবস্থায় এগুলোতে আরোহণ করো, সুস্থ অবস্থায় আহার করো। (আবু দাউদ ২৫৪৮)

হুজুগে বাঙালির দল। একটু বুদ্ধি খাটান। মিডিয়া গু খাওয়ালে গু খাবেন না।

মুসলমানদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে, তারা হয়েগেছে চেতনাহীন, তাই আজ ইহুদীবাদিরা ইসলামকে বিকৃত করলেও কারো গায়ে লাগেনা।

June 07, 2020
Image may contain: 13 people, text

মুসলমানদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে, তারা হয়েগেছে চেতনাহীন, তাই আজ ইহুদীবাদিরা ইসলামকে বিকৃত করলেও কারো গায়ে লাগেনা।

দেশে থাকলে এর বিরুদ্ধে মামলা করতাম।

ঈদুল ফিতর এর শর্ট ফিল্ম, অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের জিনা। নাউযুবিল্লাহ।

তা মুসলমান জানতে মনে চায়, এই হারাম, কুফুরি ফতোয়া শুনেও কেনো তোমার ঈমান জাগেনা?

এই যিনার নাটক, ফিল্ম কুরআনের কোন আয়াত, কোন হাদিসের ভাষ্যমতে ঈদুল ফিতরের হয়?

কেউ আমাকে বলুন?

আজকে যদি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলে দেশে কিছু থাকতো, তাহলে অন্তত জিজ্ঞাসা করতো এদের, এইযে মুসলমানদের ঈদ কে ব্যবহার করে জিনার ব্যবসা করছো এর অধিকার কই পেলে? আমাদের থেকে অনুমতি নিয়েছো আমাদের ধর্মীয় শব্দকে নাটক, সিনেমা, ফিল্ম আর অশ্লীল প*র্নো*গ্রাফী ভিডিওতে ব্যবহার এর জন্য?
9 hours agoPublicin Mobile Uploads
View full size
×
FX
$
0.0032187

বৃটিশ ও ভারতীয় বিধর্মীরা মিলেমিশে মুসলমানদের ক্ষতিসাধন করেছে

June 06, 2020
ইয়েমেন যুদ্ধ, হুথি ড্রোন হামলা এবং ...


প্রশাসনের শীর্ষে বিধর্মী কর্মকর্তারা যে কতবড় সর্বনাশের কারণ হতে যাচ্ছে মুসলমানদের জন্য সেটা আজ এই বঙ্গবাসী মুসলমানেরা কল্পনাও করতে পারছে না। বাস্তব এটাই যে এই বিধর্মীরাই এই পাক ভারত উপমহাদেশে তিলে তিলে মুসলমানদের শোষণ করেছে। অথচ ইতিহাসের শিক্ষা এটাই যে মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহন করে না।

ব্রিটিশ ঐতিহাসিক হান্টার বলেছে- “এ প্রদেশের ঘটনাবলীর সাথেই আমি বিশেষভাবে পরিচিত। তার ফলে আমি যতদূর জানি, তাতে করে ইংরেজ আমলে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখানকার মুসলমান অধিবাসীগণ”। -( W.W Hunter The Indian Mussalmans. pp. 140-141)।

সে সময়ে বাংলা বলতে বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যাকে বুঝাতো। তৎকালে উড়িষ্যার মুসলমানদের পক্ষ থেকে বিভাগীয় কমিশনার ই, ডব্লিউ সলোনী, সি এস এর নিকটে প্রেরিত একটি আবেদনপত্রে তাদের করুণ অবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে। আবেদনপত্রে বলা হয়েছে-
“........অনুগত প্রজা হিসাবে দেশের প্রশাসন ব্যবস্থার সকল চাকুরীতে আমাদের সমান অধিকার আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, উড়িষ্যার মুসলমানদেরকে ক্রমশঃ দাবিয়ে রাখা হচ্ছে এবং মাথা তুলে দাঁড়াবার কোন আশাই তাদের নেই। সম্ভ্রান্ত বংশে জন্মগ্রহণ করলেও জীবিকার্জনের পথ রুদ্ধ বলে আমরা দরিদ্র হয়ে পড়েছি এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আমাদের অবস্থা হয়েছে পানি থেকে ডাঙায় উঠানো মাছের ন্যায়। মুসলমানদের এই করুণ দুর্দশা আপনার সামনে তুলে ধরছি এই বিশ্বাসে যে, আপনি উড়িষ্যা বিভাগে মহারাণীর প্রতিনিধি এবং আশা করি আপনি বর্ণ ও জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর প্রতি সুবিচার করবেন। সরকারী চাকুরী থেকে বঞ্চিত হয়ে আমরা কপর্দকহীন হয়ে পড়েছি। আমাদের অবস্থা এমন শোচনীয় হয়ে পড়েছে যে, আমরা দুনিয়ার যেকোন প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে রাজী আছি- তা হিমালয়ের বরফাচ্ছাদিত চূড়াই হোক অথবা সাইবেরিয়ার জনবিরল প্রান্তরই হোক- যদি আমরা এ আশ্বাস পাই যে, এভাবে দেশ তেকে দেশান্তরে ভ্রমণের ফলে প্রতি হপ্তায় মাত্র দশ শিলিং বেতনে কোন সরকারী চাকুরী আমাদের মিলবে”। -( W. W.Hunter The Indian Mussalmans, PP. 158-159)।
মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারের যাঁরা বিভিন্ন সরকারী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ইংরেজদের আগমনের পর চাকুরী থেকে বঞ্চিত হয়ে শুধুমাত্র এসব পরিবারই দারিদ্র্য কবলিত হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল তাই নয়, বরঞ্চ বাংলার সাধারণ মুসলিম পরিবারগুলির অবস্থাও তদনুরূপ হয়েছিল। বাংলার কৃষক ও তাতী সমাজও চরম দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছিল।

করোনায় নয়; খাবারের অভাবেই দিশেহারা হতদরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষ

June 06, 2020
হাওরের হাহাকারে ত্রাণ পাচ্ছেন না ...
প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে বৃদ্ধ লোকটি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিলো। শরীরে তেমন বল ছিল না। অনেকটা কষ্ট করেই এই পাড়া থেকে ওই পাড়া, রাস্তা থেকে রাস্তায় ঘুরছিলো বৃদ্ধ’। কিন্তু কেউ জানে না লোকটি কে? কি তার পরিচয়? কারো মায়া হলে কিছু খাবার কিনে দিচ্ছে, কেউবা দুই-চার টাকা সাহায্য করছে। কিন্তু লোকটির পরিচয় বা তার বিষয়ে কেউ খোঁজ নিয়ে তার ঠিকানায় পৌঁছে দেয়ার চিন্তা মাথায় নেয়নি। এভাবে খেয়ে না খেয়েই কাটছিল তার জীবনের শেষ ৬টি দিন। অবশেষে বড় উঠান এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত পরিচয়েই দাফন করা হয় স্থানীয় কবরস্থানে। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়।’
শুধু চট্টগ্রামেই নয় সারাদেশেই এরূপ অনাহারী পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সরকার থেকে আরোপিত অঘোষিত লকডাউনে ছিন্নমুল মানুষেরা এভাবে না খেতে পেরে ক্ষুধার জ্বালা সহ্যৃ করছে। ফলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। পাশাপাশি কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতদরিদ্র ও দিনমজুরা। জীবিকা নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। দিনে এনে দিনে খাওয়া শ্রমজীবী যেমন- মজুর, রিকশাওয়ালা, অটোরিকশা-টেম্পো চালক-হেলপার, সবজি-ফল ও চা-পান বিক্রেতা এবং কুলিসহ নিম্ন আয়ের লক্ষ লক্ষ মানুষ চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন। কর্মহারা গৃহকর্মী ও দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে নানা ধরনের কাজ করে যারা বস্তিতে বসবাস করেন তারাও পরিবারের খাবার যোগান নিয়ে দিশেহারা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেছেন। বিচ্ছিন্ন সময়কালে প্রতিদিনের খাদ্য, ওষুধ ও পরিচ্ছন্নতাসামগ্রী কেনার অর্থের উৎস হারিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন সমাজের এই দরিদ্র শ্রেণির মানুষ।
তবে বেশি বিপদে রয়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। দৈনন্দিন রোজগার  করতে না পেরে থমকে গেছে তাদের অভাবের জীবনযাপনও। কর্মহীন এ মানুষগুলো ক্ষুধার ত্রাণ পেতে ছুটছেন পথে পথে। কোথাও দুমুঠো খাবার জুটলেই চোখে মুখে যেন ফুটে উঠছে রাজ্য জয়ের প্রশান্তি। তাদের পাশাপাশি নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও রয়েছেন ভীষণ কষ্টে। তারা লজ্জায় দিনের বেলা খাবারের সন্ধানে বের হতে পারেন না। কিন্তু সন্ধ্যা নেমে আসতেই বের হন। খুঁজতে থাকেন ত্রাণের গাড়ি। কান খাড়া করে থাকেন কোথাও ত্রাণ দেয়া হচ্ছে কিনা সেই খবর পেতে। গত কয়েকদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে কর্মহীন এসব মানুষের বেঁচে থাকার এমন যুদ্ধ দেখা গেছে। এরই মধ্যে গতপরশু লকডাউন পরিস্থিতিতে খাবার না পেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় রাস্তার পাশে মারা যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা সহযোগীতা করে তাকে দাফন করে।
উল্লেখ্য, সারাদেশে অঘোষিত লকডাউনে এমনই অসহায় অবস্থা দরিদ্র অসহায় মানুষেরা। যেখানে সরকার মহল দেশের উন্নয়নের সাফল্যগাঁধা প্রচার করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে সেখানে মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে, নি¤œ আয়ের পেশাজীবিরা কর্মহীন হয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারী থাকছে। খাদ্যের সঙ্কটে রাস্তায় নামছে। পাড়া-মহল্লাতেই নয়, প্রধান প্রধান সড়কের পাশেও এই অভাবী মানুষের ভিড় বাড়ছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন অসংখ্য মানুষকে দেখা গেছে। গাড়ি দেখলেই তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। ধনীদের বাসা-বাড়ির সামনে গিয়ে জড়ো হয়ে আছে, এমন দৃশ্যও চোখে পড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি বাড়ির সামনে এমন ভিড় লক্ষ করা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মানুষগুলো সাহায্যের জন্য ওইসব বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছেন।
শুধু যে শহরগুলোতেই এ অবস্থা তা নয়। গ্রামেও একই পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিন যত যাবে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে। কাজ না থাকলে মানুষের উপার্জন থাকবে না। মানুষ খাবে কী? এক্ষুণি ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে হাহাকারের মতো পরিস্থিতি। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, আজিমপুর, ঝিগাতলা, ধানমন্ডি-২৭, হাইকোর্ট মাজার, কমলাপুর, গুলিস্তান, হাতিরঝিল, বিমানবন্দর, মিরপুর-১০সহ বিভিন্ন স্থানে ত্রাণপ্রত্যাশী মানুষের ভিড় প্রতিদিনই চোখে পড়ার মতো। কোথাও কোথাও ত্রাণের চেয়ে মানুষের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে। অনেক মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও গভীর রাতে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকছেন। তারা লজ্জায় কারও কাছে কিছু চাইতে পারেন না। ত্রাণ বিলি করতে করতে এক সময় তো শেষ হয়ে যায়। কিন্তু অভাবী মানুষের লাইন ফুরায় না। প্রতিদিনই অনেক মানুষ অভুক্ত থেকে যাচ্ছেন। তাদের খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে, নিজের কাছে, নিজের পরিবারের কাছে।
কারওয়ান বাজারে রেললাইনের ধারে পাথরের ওপর শুয়ে থাকে বহু ছিন্নমুল মানুষ। নদীভাঙনের শিকার এসব মানুষ ঠাঁই নিয়েছিলেন এখানকার বস্তিতে। তাদের কেউ ঠেলাগাড়ি বা ভ্যান চালাতো, কেউ সবজি বিক্রি করতো। বস্তি উচ্ছেদের পর খোলা আকাশের নিচেই বসবাস। তাদের বেশিরভাগই রংপুর, সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছেন। রাজধানীতে লোক চলাচল ও ব্যবসা-বাণিজ্য কমেছে। কোনো কাজ না পাওয়ায় বসে বসে সময় কাটাচ্ছেন তারা। রোজগার না থাকায় জুটছে না খাবারও। বয়স্করা ক্ষুধা সইতে পারলেও শিশুরা পারছে না। খিদের চোটে কান্না করছে তারা। এতে অস্থির হয়ে পড়ছেন বড়রা। কিন্তু তাদের যেন কিছুই করার নেই। নি¤œ আয়ের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘সকাল থেকে বসে আছি। বেচাকেনা নেই। না বেচতে পারলে খামু কী? আগে তো বেচাকেনা ভালোই হতো। এখন আর হয় না। আর সইতে পারছি না। কত বেলা না খেয়ে থাকা যায়?’
অভিজ্ঞমহল মনে করছেন করোনা নিয়ে সরকার যা করছে তা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে, রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম। কাজেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলোকেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

বিশ্বব্যাপী ইহুদী ষড়যন্ত্রের মাস্টার প্ল্যান প্রটোকল অফ ইহুদী

June 06, 2020
Abul Waqt

(সারা বিশ্বের ভারসাম্য নষ্ট করে নিজেদের করতলে নেওয়ার জন্য ইহুদীরা শত শত বছর আগে তৈরী করে দুটি মাস্টার প্ল্যান। একটি ছিলো দুই শত বছর মেয়াদী মাস্টারপ্লান অপরটি ছিলো তিনশত বছরব্যাপী মাস্টারপ্ল্যন। যাকে বলা হয় প্রটোকল অফ ইহুদী। এটা পাঠে পাঠক অতি সহজেই বুঝবেন আজকের পৃথিবীর যে সংঘাতময় পরিস্থিতি তার নেপথ্য নাটের গুরু হচ্ছে ফ্রীম্যাসন সদস্যরা।)
ইহুদিদের সুদূর প্রসারী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একটু বলি। বিশ্বব্যাপী ইহুদিবাদ যাতে করে নির্বিঘ্নে পরিচালিত হতে পারে এবং তাদের এই ইহুদিবাদ তত্ত্ব যেন কেউ বুঝতে না পারে আর তাদের অজান্তেই যেন তারা একে সমর্থন করে এই সূত্র মাথায় রেখেই তারা বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করার জন্য পরিকল্পনা করে। তাদের প্রটোকল পুস্তকের Re-education বা “শিক্ষাব্যবস্থার নতুন রূপ” অধ্যায়ে এই বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। আমি উল্লেখযোগ্য কিছু অংশের ভাবানুবাদ তুলে ধরছি।
“একমাত্র আমাদের ছাড়া দুনিয়ার যাবতীয় সমষ্টিগত শক্তি বিনষ্ট করার জন্য প্রথমেই আমরা সমষ্টির শিক্ষা যেখান থেকে আরম্ভ অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এক নবতর শিক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে বীর্যহীন (Emasculate) করে দেব। এ শিক্ষাগারের সকল অধ্যাপক ও কর্মচারীবৃন্দ একটা বিস্তারিত কার্যসূচী অনুসারে নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হবেন। এবং কখনও এক চুল পরিমাণও (Iota) এদিক সেদিক নড়াচড়া করবেন না। বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে তাদের নিয়োগ করা হবে এবং তারা সরকারের উপর পরিপূর্ণরুপে নির্ভরশীল হবে। 
রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন-কানুন ও রাজনীতি সংক্রান্ত অপরাপর প্রয়োজনীয় বিষয়াবলীকে আমরা পাঠ্য তালিকার বহির্ভূত করে দেব। গইমদের বিশ্বজোড়া শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি লক্ষ্য করলে তোমরা বুঝতে পারবে যে, রাষ্ট্র সংক্রান্ত ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী বিপুল জনতা অবান্তর কল্পনা বিলাসী ও অবাঞ্ছিত নাগরিক(Utopian dreamers and bad subjects) সৃষ্টি করে মাত্র। আমরা ক্ষমতা লাভ করার পর পাঠ্যতালিকা থেকে গোলযোগ সৃষ্টিকারী সকল বিষয় বাদ দিয়ে দেব এবং যুবসমাজকে শাসন কর্তৃপক্ষের অনুগত সন্তানে পরিণত করবো। আমরা ইতিহাসকে পাল্টে দেব। পূর্ববর্তী শতাব্দীগুলোর যেসব ঘটনা আমাদের জন্য অবাঞ্ছিত সেগুলোর স্মৃতি মানুষের স্মৃতিপট থেকে মুছে দেব। শুধু গইম সরকারের ভুল-ভ্রান্তির ইতিহাস তাদের স্মৃতিপটে জাগ্রত করে রাখার ব্যবস্থা করব। আমরা শিক্ষা সম্পর্কিত যাবতীয় স্বাধীনতা বিলোপ করে দেব।
এক কথায় আমরা শত শত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে জানতে পেরেছি যে, মানুষ কোনো না কোনো খেয়াল বা হুজুগ (Ideas) দ্বারা পরিচালিত হয় ও খেয়ালের নেশায়ই জীবনযাপন করে আর এসব খেয়াল মানুষের মন-মগজে শিক্ষার মাধ্যমেই বদ্ধমূল হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্রময় পদ্ধতিতে আমরা মানুষের স্বাধীন চিন্তার শেষ বিন্দুটুকু পর্যন্ত তাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মানুষগুলোকে আমাদের কাজে প্রয়োগ করব। এটা করার উদ্দেশ্য হলো, গইম সমাজকে চিন্তাশক্তিহীন অনুগত পশুর (Unthinking submissive brutes) স্তরে নামিয়ে আনা যেন তাদের চোখের সামনে কোন কিছু পেশ না করা পর্যন্ত তারা নিজস্ব চিন্তার সাহায্যে কোন ধারণাই পোষণ করতে না পারে। নাউ’যুবিল্লাহি মিন জালিক!

পাকী রাজাকার বনাম ভারতীয় রাজাকার

June 06, 2020
ফাইনালে মাঠ সামলাবেন যারা

‘রাজাকার’ শব্দটি অর্থের দিক দিয়ে খারাপ নয়। রাজাকার অর্থ সাহায্যকারী। ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা পাক বাহিনীকে মুক্তযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি হওয়া সত্ত্বেও সাহায্য করেছে তাদের দেশবাসী রাজাকার হিসেবে চেনে। এই রাজাকাররা অনেকেই মানবতাবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলো। তাইতো স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে হলেও এদের বিচার হচ্ছে। এই বিচার কার্যে রাজাকার শব্দটি ব্যবহার হচ্ছে না। এদের মানবতাবিরোধী কাজের জন্য বিচার হচ্ছে, তা অবশ্য অবশ্যই হওয়া উচিত এবং সর্বোচ্চ কঠিন শাস্তি দেয়া উচিত। রাজাকার শব্দটি ব্যবহার না করার কারণ আমি কিছুটা বুঝতে পারলেও সকল মানবতা বিরোধীদের বিচার কেন হচ্ছে না- তা বুঝতে পারছি না। কিছু কিছু রাজাকার বলে থাকে যে, ‘আমরা জানতাম মুক্তিযুদ্ধের পিছনের শক্তি ভারত। অবশেষে ভারত দেশটিকে একটি সিকিম বানাবে। মুশরিক ও মুসলমান শোষকদের মধ্যে আমরা মুসলমানদের বেছে নিয়েছিলাম। মুশরিকদের চরিত্র ও যুলুম আমরা বুলি নাই। তা রাজাকার অর্থাৎ পাকিস্তানী রাজাকাররা যাই বলুক না কেন, নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে দেখা যায় হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র ভারত ধীরে ধীরে দেশটিকে সিকিম অথবা কাশ্মীর বানাতে এগুচ্ছে। ভারতের ৪২ বছরের বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকা- তার প্রমাণ।
যারা ভারতের দালালী করে অর্থাৎ ভারতীয় রাজাকার ৪২ বছর পর তাদেরও দেশ বিক্রির অপরাধে কাঠগোড়ায় না দাঁড়াতে হয়। স্বাধীনতা যদি ভারতের কাছে বন্ধক দেয়া হয়, তাহলে শহীদদের ও লাঞ্ছিত মা-বোনদের সান্তানা কোথায়? রাজাকার পাকিস্তনের পক্ষে কিংবা ভারতের পক্ষে যাই হোক না কেন অপরাধের শাস্তি সকলকেই পেতে হবে।

জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি ও কাশি হওয়া খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত; কাজেই, জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি হলেই করোনা নয়

June 06, 2020
সিলসিলা এ নূর এ রাজারবাগ শরীফ - Berichten ...

জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি হলেই করোনা নয়। জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি ও কাশি হওয়া খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, 
عن حضرت أَبِىْ عَسِيبٍ رضى الله تعالى عنه مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَنِي جِبْرِيلُ بِالْحُمَّى وَالطَّاعُونِ فَأَمْسَكْتُ الْحُمَّى وَأَرْسَلْتُ الطَّاعُونَ إِلَى الشَّامِ فَالطَّاعُونُ شَهَادَةٌ لِأُمَّتِي وَرَحْمَةٌ لَهُمْ وَرِجْزٌ عَلَى الْكَافِرِينَ 
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযাদকৃত গোলাম হযরত আবূ ‘আসীব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, একদা হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ দুটি বিষয়- ১. জ্বর এবং ২. মহামারী নিয়ে আসলেন। আমি জ্বর (জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি, হালকা মাথা ব্যাথা) গ্রহণ করলাম। আর মহামারী (কলেরা, বসন্ত ইত্যাদি) শাম দেশে প্রেরণ করলাম। কাজেই, মহামারি হচ্ছে আমার উম্মতের জন্য শাহাদাত এবং রহমত স্বরূপ। আর কাফিরদের জন্য শাস্তি বা গযব স্বরূপ।” (আল কুনা ওয়াল আসমা লিদ দূলাবী ১/১৩১, মুসনাদে আহমদ ৩৪/৩৬৬, আল আহাদ ওয়াল মাছানী ১/৩৪২, ফাইদ্বুল ক্বদীর ১/৯৪ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক রয়েছে,
“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গেলাম, তখন তিনি (মহাসম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক) জ্বর গ্রহণ করেছিলেন। আমি আমার হাত দ্বারা উনাকে স্পর্শ করলাম এবং বললাম- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তো প্রবল (মহাসম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক) জ্বর মুবারক গ্রহণ করেছেন! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হ্যাঁ, আপনাদের দুজনে যা ভোগ করেন, আমি তা গ্রহণ করেছি। হযরত ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি বললাম- এটা এই কারণে যে, আপনার জন্য দুই গুণ পুরুস্কার রয়েছে। (অর্থাৎ কোনো ব্যাক্তি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যদি খেয়াল করেন যে, এটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক, তাহলে তিনি দুই গুণ ফযীলত লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোনো মুসলমানের প্রতি যেকোনো কষ্ট পৌঁছুক না কেনো, হোক সেটা রোগ-বালা বা অন্য কোনো কিছু, মহান আল্লাহ পাক তিনি তা দ্বারা ঐ ব্যক্তি উনার গুনাহ্সমূহ এমনভাবে ঝেড়ে দেন, যেভাবে গাছ তার পাতা ঝাড়ে।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক রয়েছে,
وعن حضرت جابر رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قال دخل رسول الله صلى الله عليه وسلم على أم السائب رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ فقال مالك تزفزفين قالت الحمى لا بارك الله فيها فقال لا تسبي الحمى فإنها تذهب خطايا بني آدم كما يذهب الكير خبث الحديد
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মুস সায়িব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার নিকট সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিয়ে ইরশাদ মুবারক করেন, আপনার কি হয়েছে? কান্না করছেন কেনো? তিনি জবাব দিলেন, জ্বর। মহান আল্লাহ পাক তিনি জ্বরের ভালো না করুন! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনি জ্বরকে গালি দিবেন না। কেননা, এটা মানুষের গুনাহ্সমূহকে এমনভাবে দূর করে, যেভাবে হাপর লোহার মরিচা দূর করে।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আরো ইরশাদ মুবারক রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعُطَاسَ
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হাঁচি পছন্দ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আরো ইরশাদ মুবারক রয়েছে,
عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشَمَّتُ الْعَاطِسُ ثَلَاثًا فَمَا زَادَ فَهُوَ مَزْكُومٌ
অর্থ: “হযরত সালামাহ ইবনে আকওয়া’ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হাঁচি দাতা ৩ বার হাঁচি দিবে। কেউ যদি এর বেশি হাঁচি দেয়, তাহলে সে সর্দিগ্রস্ত।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে মাজাহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৭১৪)
কাজেই জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি হওয়া এটা একটা খাছ সুন্নাত উনার অন্তর্ভূক্ত। এটাকে খারাপ বলা কাট্টা কুফরী। কেননা আকাইদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اِهَانَةُ السُّنَّةِ كُفْرٌ
অর্থ: “সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইহানত করা কুফরী।”
 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ১০ম খলীফা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ঠা-া, সর্দি, কাশি, জ্বর হওয়া এটা একটা খাছ সুন্নাত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। এখন এর মধ্যে এরা করোনা ভাইরাসকে প্রবেশ করিয়ে বলতেছে, এটা করোনা ভাইরাসের রোগীদের হয়ে থাকে। না‘ঊযুবিল্লাহ! এটাতো আলাদা একটা জিবানু। যা হাদীছ শরীফে রয়েছে, প্রত্যেকটা রোগের একটা আকৃতি রয়েছে। রোগগুলো তো এভাবে আসে না। আসমান থেকে নাযিল হয়। নাযিল হয়ে রোগ যখন চলাচল শুরু করে, যেই যেই এলাকা দিয়ে যায়, আর যাকে যাকে সে স্পর্শ করে, তারই এই রোগ হয়। আর যাকে স্পর্শ করবে না, তার রোগ হবে না। আর সে তো সবাইকে স্পর্শ করবে না। যিনি খালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাদের জন্য পাঠিয়েছেন, তাদেরকেই স্পর্শ করবে, তাদেরই এই রোগ হবে। অন্য কারো হবে না। আর এই করোনা ভাইরাস যেটা, এটা একটা কাট্টা গযব। এটা মহামারী না। এটা কাফেরদের প্রতি কঠিন একটা গযব। আর জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশির নাম দিয়ে তারা করোনা ভাইরাসের কথা বলে থাকে। এটা আরেকটা কুফরী। এরা বাল্যবিবাহ নিয়ে যেমন কুফরী করে থাকে, ঠিক একইভাবে জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর নিয়েও কুফরী করে যাচ্ছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! আমাদের দেশে মুসলমানদের সারা বছরই ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর হয়ে থাকে। উল্লেখ্য ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি জ্বর ইত্যাদি হলে স্বাভাবিক ভাবেই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থতা লাভ করবে। তবে যদি এই রোগে রোগীর মৃত্যূ নির্ধারিত থেকে থাকে তা আলাদা বিষয়। আর করোনা আলাদা একটা জিবানু। এটা একটা কাট্টা গযব। সেই গযবটা যার ভিতর প্রবেশ করবে, সে অবশ্যই মারা যাবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! সে কখনো বাঁচতে পারবে না। অর্থাৎ চিকিৎসার মাধ্যমে কখনো সুস্থতা লাভ করতে পারবে না। (আলোচনা মুবারক থেকে সংকলিত)