মরিতে
চাহি না আমি এই সুন্দর ভুবনে। কবি এখানে পৃথিবীকে সুন্দর বলে নাই, সুন্দর বলেছে পৃথিবীর কতিপয় বন্তুকে। যার প্রতি মানুষের রয়েছে দারুণ আকর্ষণ। এই আকর্ষণ স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিই মানুষকে দান করেছেন। এ সবের উল্লেখ রয়েছে পবিত্র কুরআন মজিদ উনার মধ্যে।
পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ উনার ১৪নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “নারী, সন্তান, রাশিকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য আর চিহ্নিত অশ্বরাজি, গবাদি পশু এবং ক্ষেত-খামারে প্রতি আসক্তি মানুষের নিকট সুন্দর করা হয়েছে।”
উল্লেখিত ৬টি বস্তু দ্বারা মানুষকে পৃথিবী মোহিত করে রেখেছে। পৃথিবীর নিজস্ব তেমন কিছুই নাই মানুষকে আটকে রাখার। এতো গেল দুনিয়ার বাহ্যিক আকর্ষণ।
নফস তার অপরূপ সৌন্দর্য দ্বারা রূহকে আটকে ফেলেছে। এটা ভিতরের ব্যাপার অর্থাৎ বাতিন। নফস তার সে¦চ্ছাচারিতা দিয়ে জাহির-বাতিন উভয়কেই নির্মমভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। দেহ, মন, মগজ সবই তার নিয়ন্ত্রণে। এর পর শয়তানের ফেরেব।
এজন্য খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট থেকে শয়তান অনেক ক্ষমতা নিয়েছে মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য। এই তিন মহাশত্রুর বাধা পেরিয়ে মুক্তি লাভ করা কত যে কঠিন- তা একটু ভেবে দেখুন। এমনি এমনি কি এই বাধাসমূহ পার হওয়া যাবে?
এসব চিহ্নিত শত্রুর হাত থেকে বাঁচার জন্য পরম দয়ালু মহান আল্লাহ পাক তিনি যুগে যুগে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পাঠিয়েছেন। আর হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পাঠানোর ধারাবাহিকতা শেষ হওয়ার পর ওলীআল্লাহগণ উনাদেরকে পাঠিয়েছেন, পাঠাচ্ছেন এবং ক্বিয়ামত অবধি পাঠাতে থাকবেন। তাই বর্তমানে ওলীআল্লাহগণ উনাদের থেকে দূরে থেকে মানুষ রক্ষা পাবে না। অর্থাৎ উল্লেখিত বাধা অতিক্রম করতে হলে অবশ্যই এজন কামিল মুর্শিদ ক্বিবলা উনার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করতে হবে। ছোহবত ইখতিয়ার করতে হবে। যিকির-ফিকির, মুরাক্বাবা-মুশাহাদা করতে হবে। এটাই সম্মানিত শরীয়ত উনার চূড়ান্ত ও একমাত্র ফায়ছালা।
No comments:
Post a Comment