(সারা বিশ্বের ভারসাম্য নষ্ট করে নিজেদের করতলে নেওয়ার জন্য ইহুদীরা শত শত বছর আগে তৈরী করে দুটি মাস্টার প্ল্যান। একটি ছিলো দুই শত বছর মেয়াদী মাস্টারপ্লান অপরটি ছিলো তিনশত বছরব্যাপী মাস্টারপ্ল্যন। যাকে বলা হয় প্রটোকল অফ ইহুদী। এটা পাঠে পাঠক অতি সহজেই বুঝবেন আজকের পৃথিবীর যে সংঘাতময় পরিস্থিতি তার নেপথ্য নাটের গুরু হচ্ছে ফ্রীম্যাসন সদস্যরা।)
ইহুদিদের সুদূর প্রসারী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একটু বলি। বিশ্বব্যাপী ইহুদিবাদ যাতে করে নির্বিঘ্নে পরিচালিত হতে পারে এবং তাদের এই ইহুদিবাদ তত্ত্ব যেন কেউ বুঝতে না পারে আর তাদের অজান্তেই যেন তারা একে সমর্থন করে এই সূত্র মাথায় রেখেই তারা বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করার জন্য পরিকল্পনা করে। তাদের প্রটোকল পুস্তকের Re-education বা “শিক্ষাব্যবস্থার নতুন রূপ” অধ্যায়ে এই বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। আমি উল্লেখযোগ্য কিছু অংশের ভাবানুবাদ তুলে ধরছি।
“একমাত্র আমাদের ছাড়া দুনিয়ার যাবতীয় সমষ্টিগত শক্তি বিনষ্ট করার জন্য প্রথমেই আমরা সমষ্টির শিক্ষা যেখান থেকে আরম্ভ অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এক নবতর শিক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে বীর্যহীন (Emasculate) করে দেব। এ শিক্ষাগারের সকল অধ্যাপক ও কর্মচারীবৃন্দ একটা বিস্তারিত কার্যসূচী অনুসারে নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হবেন। এবং কখনও এক চুল পরিমাণও (Iota) এদিক সেদিক নড়াচড়া করবেন না। বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে তাদের নিয়োগ করা হবে এবং তারা সরকারের উপর পরিপূর্ণরুপে নির্ভরশীল হবে।
রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন-কানুন ও রাজনীতি সংক্রান্ত অপরাপর প্রয়োজনীয় বিষয়াবলীকে আমরা পাঠ্য তালিকার বহির্ভূত করে দেব। গইমদের বিশ্বজোড়া শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি লক্ষ্য করলে তোমরা বুঝতে পারবে যে, রাষ্ট্র সংক্রান্ত ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী বিপুল জনতা অবান্তর কল্পনা বিলাসী ও অবাঞ্ছিত নাগরিক(Utopian dreamers and bad subjects) সৃষ্টি করে মাত্র। আমরা ক্ষমতা লাভ করার পর পাঠ্যতালিকা থেকে গোলযোগ সৃষ্টিকারী সকল বিষয় বাদ দিয়ে দেব এবং যুবসমাজকে শাসন কর্তৃপক্ষের অনুগত সন্তানে পরিণত করবো। আমরা ইতিহাসকে পাল্টে দেব। পূর্ববর্তী শতাব্দীগুলোর যেসব ঘটনা আমাদের জন্য অবাঞ্ছিত সেগুলোর স্মৃতি মানুষের স্মৃতিপট থেকে মুছে দেব। শুধু গইম সরকারের ভুল-ভ্রান্তির ইতিহাস তাদের স্মৃতিপটে জাগ্রত করে রাখার ব্যবস্থা করব। আমরা শিক্ষা সম্পর্কিত যাবতীয় স্বাধীনতা বিলোপ করে দেব।
এক কথায় আমরা শত শত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে জানতে পেরেছি যে, মানুষ কোনো না কোনো খেয়াল বা হুজুগ (Ideas) দ্বারা পরিচালিত হয় ও খেয়ালের নেশায়ই জীবনযাপন করে আর এসব খেয়াল মানুষের মন-মগজে শিক্ষার মাধ্যমেই বদ্ধমূল হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্রময় পদ্ধতিতে আমরা মানুষের স্বাধীন চিন্তার শেষ বিন্দুটুকু পর্যন্ত তাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মানুষগুলোকে আমাদের কাজে প্রয়োগ করব। এটা করার উদ্দেশ্য হলো, গইম সমাজকে চিন্তাশক্তিহীন অনুগত পশুর (Unthinking submissive brutes) স্তরে নামিয়ে আনা যেন তাদের চোখের সামনে কোন কিছু পেশ না করা পর্যন্ত তারা নিজস্ব চিন্তার সাহায্যে কোন ধারণাই পোষণ করতে না পারে। নাউ’যুবিল্লাহি মিন জালিক!
No comments:
Post a Comment