‘রাজাকার’ শব্দটি অর্থের দিক দিয়ে খারাপ নয়। রাজাকার অর্থ সাহায্যকারী। ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা পাক বাহিনীকে মুক্তযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি হওয়া সত্ত্বেও সাহায্য করেছে তাদের দেশবাসী রাজাকার হিসেবে চেনে। এই রাজাকাররা অনেকেই মানবতাবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলো। তাইতো স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে হলেও এদের বিচার হচ্ছে। এই বিচার কার্যে রাজাকার শব্দটি ব্যবহার হচ্ছে না। এদের মানবতাবিরোধী কাজের জন্য বিচার হচ্ছে, তা অবশ্য অবশ্যই হওয়া উচিত এবং সর্বোচ্চ কঠিন শাস্তি দেয়া উচিত। রাজাকার শব্দটি ব্যবহার না করার কারণ আমি কিছুটা বুঝতে পারলেও সকল মানবতা বিরোধীদের বিচার কেন হচ্ছে না- তা বুঝতে পারছি না। কিছু কিছু রাজাকার বলে থাকে যে, ‘আমরা জানতাম মুক্তিযুদ্ধের পিছনের শক্তি ভারত। অবশেষে ভারত দেশটিকে একটি সিকিম বানাবে। মুশরিক ও মুসলমান শোষকদের মধ্যে আমরা মুসলমানদের বেছে নিয়েছিলাম। মুশরিকদের চরিত্র ও যুলুম আমরা বুলি নাই। তা রাজাকার অর্থাৎ পাকিস্তানী রাজাকাররা যাই বলুক না কেন, নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে দেখা যায় হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র ভারত ধীরে ধীরে দেশটিকে সিকিম অথবা কাশ্মীর বানাতে এগুচ্ছে। ভারতের ৪২ বছরের বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকা- তার প্রমাণ।
যারা ভারতের দালালী করে অর্থাৎ ভারতীয় রাজাকার ৪২ বছর পর তাদেরও দেশ বিক্রির অপরাধে কাঠগোড়ায় না দাঁড়াতে হয়। স্বাধীনতা যদি ভারতের কাছে বন্ধক দেয়া হয়, তাহলে শহীদদের ও লাঞ্ছিত মা-বোনদের সান্তানা কোথায়? রাজাকার পাকিস্তনের পক্ষে কিংবা ভারতের পক্ষে যাই হোক না কেন অপরাধের শাস্তি সকলকেই পেতে হবে।
No comments:
Post a Comment