খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
يَااَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مّـِنْ رَّبّـِكُمْ وَشِفَاء لّـِمَا فِى الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لّـِلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـِمَّا يَـجْمَعُوْنَ.
অর্থ: “হে মানুষেরা! হে সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী! অবশ্যই তোমাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সর্বপ্রকার ব্যাধিসমূহের সর্বশ্রেষ্ঠ আরোগ্যদানকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়াত দানকারী এবং সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য, খাছ করে ঈমানদারদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমতস্বরূপ আমার যিনি হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ!
হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে, ফযল, করম ও রহমত মুবারক হিসেবে উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে, ঈদ পালন করে তথা মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা, ঈদ পালন করাটা, মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাটা সবকিছু থেকে উত্তম; যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা ইউনূস শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ৫৮)
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অজুদ মুবারক উনার সম্মানার্থে খুশি প্রকাশ করা, ঈদ পালন করা কায়িনাতবাসীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মর্যাদা, ফাযায়িল-ফযীলতের দিক থেকে যেমনিভাবে কায়িনাত মাঝে একক অজুদ মুবারক, তেমনিভাবে উনার জন্য খুশি প্রকাশ করাটাও মাখলুকাতের সমস্ত আমল ও ইবাদত হতে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম। সুবহানাল্লাহ!
এ জন্যই আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
من أنفق درهما على قراءة مولد النبى صلى الله عليه وسلم كان رفيقى فى الجنة.
অর্থ: “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ পাঠ অর্থাৎ সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবে, সে ব্যক্তি জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ!
আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন ‘ছিদ্দীক্বে আকবর’। ‘ছিদ্দীক্ব’ শ্রেণীর মহান ব্যক্তিত্ব উনাদের মধ্যে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ। এখন সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করলে, সে ব্যক্তি জান্নাতে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বন্ধু হয়ে থাকবে। অর্থাৎ সেই ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই ‘ছিদ্দীক্ব’ উনাদের অন্তর্ভুক্ত তথা ‘ছিদ্দীক্ব’ হয়েই জীবন অতিবাহিত করবে। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
أَنْعَمَ اللَّـهُ عَلَيْهِم مِّنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ ۚ وَحَسُنَ أُولَـٰئِكَ رَفِيقًا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম, ছিদ্দীক্বগণ, শহীদগণ, ছালিহীনগণ উনাদেরকে নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন।” (সম্মানিত সূরা নিসা শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ৬৯)
এখন ফিকিরের বিষয় হলো, সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করে জান্নাতে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বন্ধু হয়ে থাকার মাধ্যমে ‘ছিদ্দীক্বিয়াত’ লাভ হয়। আর ছিদ্দীক্বগণ উনাদেরকে যাবতীয় নিয়ামত দেয়ার ব্যাপারে স্বয়ং খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে সরাসরি ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
মূলকথা হলো, সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের মাধ্যমে যাবতীয় নিয়ামত মুবারক লাভ হয়। আর এ জন্যই সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাকে কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে ঘোষণা মুবারক দেয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment