প্রিয় পাঠক! হেডলাইন দেখে কি আতঙ্কিত আর অবাক হয়ে যাচ্ছেন? আতঙ্কিত হবারই কথা। কারণ, বাংলায় বহুল প্রচলিত কথা, শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড- একথা সামান্য পড়ালেখা জানা শুনারা কে না জানে। আর একথাটা দেশের নীতিনির্ধারক মহল তারা খুব ভালো করেই জানে। তারা যেহেতু ইহুদী নাছারা মুশরিকদের দ্বারা প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত তাই তারা ৯৮ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এই বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর মেরুদণ্ড কিভাবে ভেঙ্গে দিতে হবে সেই অপচেষ্টায় প্রতিনিয়ত লিপ্ত রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! শিশু শ্রেনী থেকে আরম্ভ করে উচ্চতর শ্রেণী পর্যন্ত হোক তা মাদরাসা কিংবা স্কুল অথবা সরকারি বেসরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিটি ক্লাশের পাঠ্য সিলেবাসে বিধর্মী মুশরিক নাস্তিক মুরতাদদের গল্প কবিতা প্রবন্ধ ইত্যাদি পাঠ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাতায় পাতায় ইসলাম বিরোধী কথাবার্তা, উক্তি, প্ররোচনা ইত্যাদি জুড়ে দেয়া হয়েছে। মুসলমান যাতে ইসলামী ইতিহাস ঐতিহ্য ভুলে যায় তার মোক্ষম ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া কুফরী শিরকী অপশিক্ষাতো আছেই। আর এগুলো শিক্ষা দিয়েই কুচক্রীমহল আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে, আমাদের জাতিকে চিরতরে মেরুদ- ভেঙ্গে পঙ্গু বানাতে চায়। গোটা জাতি প্রতিবাদ প্রতিরোধের কোন চিন্তা ভাবনাই করছে না। অর্থাৎ তাদের চিন্তাশক্তিকে পর্যন্ত এই কুফরী শিক্ষানীতি প্রণয়নের মাধ্যমে হরণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের মাঝে প্রতিবাদ প্রতিরোধের জজবা জেগে উঠা ছাড়া কোনই বিকল্প নেই। প্রিয় পাঠক! আশা করি এই গুরুতর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখবেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment