মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত মুবারক অর্থাৎ আমাকে পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।’ সুবহানাল্লাহ!
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে মাসে যমীনে মুবারক তাশরীফ আনেন- সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস উনার মুবারক নামকরণ করা হয়েছে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আসতে আর মাত্র ২০ দিন বাকি।
অতএব, সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- সেই মহাসম্মানিত মাস উনাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তা’যীম-তাকরীম ও মুহব্বত করা। আর সরকারের জন্যও ফরয হচ্ছে- সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস উনাকে সর্বোচ্চ তা’যীম-তাকরীম ও জাঁকজমকের সাথে রাষ্ট্রীয়ভাবে বরণ করার জন্য এখন থেকেই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যা সকলের জন্যই ইহকাল ও পরকাল উভয়কালে নাজাত লাভের কারণ হবে। সুবহানাল্লাহ!
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাত্রিতে আরশে আযীম শরীফে তাশরীফ মুবারক নিচ্ছিলেন, তখন তিনি স্বীয় না’লাইন শরীফ খুলবেন কিনা ফিকির করছিলেন, সেই মুহূর্তে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র ওহী মুবারক করে বললেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি আপনার পবিত্র না’লাইন শরীফ খুলবেন না! আপনার পবিত্র না’লাইন শরীফ এবং পবিত্র না’লাইন শরীফ উনার সাথে লেগে থাকা ধুলো-বালি মুবারকগুলো আপনার পবিত্রতম পরশ মুবারক পাওয়ার কারণে এতো পবিত্রতম মর্যাদায়-মার্যাদাবান হয়েছেন যে, তা যদি পবিত্র আরশে আযীম মুবারক উনাকে স্পর্শ করে, তাহলে পবিত্র আরশে আযীম মুবারক আরো লক্ষ-কোটিগুণ মর্যাদায় মর্যাবান হয়ে যাবেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র না’লাইন শরীফ উনার স্পর্শে যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আরশে আ’যীম আরো ধন্য ও মর্যাদাবান হওয়ার কারণ হয়; তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই সম্মানিত ও পবিত্র মাস উনার মাঝে যমীনে তাশরীফ মুবারক আনলেন, সেই মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ফযীলত যে কত লক্ষ-কোটিগুণ বেশি ও সে-ই মাস কত বেমেছাল মর্যাদাবান ও সম্মানিত হবে- তা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। তাই এ পবিত্র মাস উনাকে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম বলা হয়। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুল কথা হলো- যে মাসে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে মুবারক তাশরীফ আনেন- সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস উনার মুবারক নামকরণ করা হয়েছে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আসতে আর মাত্র ৩১ দিন বাকি। অতএব, সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- সেই মহাসম্মানিত মাস উনাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তা’যীম-তাকরীম ও মুহব্বত করা। আর সরকারের জন্যও ফরয হচ্ছে- সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস উনাকে সর্বোচ্চ তা’যীম-তাকরীম ও জাঁকজমকের সাথে রাষ্ট্রীয়ভাবে বরণ করার জন্য এখন থেকেই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যা সকলের জন্যই ইহকাল ও পরকাল উভয়কালে নাজাত লাভের কারণ হবে। সুবহানাল্লাহ!
-০-
No comments:
Post a Comment