মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “ক্বিয়ামতের দিন কেউ কোনো ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি দিয়ে ফায়দা হাসিল করতে পারবে না একমাত্র ঐ ব্যক্তি ছাড়া, যে সুস্থ অন্তকরণ নিয়ে এসেছে।” (পবিত্র সূরা আশ শুয়ারা: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৮-৮৯)
সুস্থ অন্তর কাকে বলে? এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আদম সন্তানের শরীরে এক টুকরা গোশত রয়ে গেছে, সেটা সংশোধন হয়ে গেলে সব সংশোধন হয়ে যায়। আর সেটা যদি বরবাদ হয়ে যায়, তাহলে সব বরবাদ হয়ে যায়। সাবধান! সেটা হলো ক্বলব।
আরো একটা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “শয়তান আদম সন্তানের ক্বালবের উপর বসে ওয়াসওয়াসা দেয়, যখন সে গাফিল থাকে। আর যখন যিকিরে মশগুল থাকে তখন শয়তান পালিয়ে যায়।”
তাহলে বুঝা যাচ্ছে, ক্বলবের ইছলাহীর উপরই বান্দার রহমত, বরকত, সাকীনা, নাজাত সমস্ত নিয়ামত মুবারক প্রাপ্তি নির্ভরশীল। আর এই ক্বলবী নিয়ামত হাছিল করতে হলে অবশ্য অবশ্যই হক্কানী-রব্বানী মহান আল্লাহপাক উনার ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে হবে। তাহলে ক্বলবে যিকির জারি করে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। তবেই ক্বলবের হাক্বীক্বী ইছলাহ তথা সুস্থ অন্তর অর্জন সম্ভব হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে পরিশুদ্ধ ক্বলব হাছিলের তাওফীক দান করুন। আমীন!
No comments:
Post a Comment